বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন

এবার অভিবাসন ঠেকাতে উপকূলে ড্রোন ও ক্যামেরা বসাচ্ছে ফ্রান্স

নিউজ ডেস্কঃ ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যমুখী অভিবাসন স্রোত ঠেকাতে উপকূলে নজরদারি বাড়াতে ড্রোন ও ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স। বেশ কয়েক মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী তিন মাসের জন্য উত্তর ফ্রান্স উপকূলে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় মেরিটাইম প্রিফেকট।

উত্তর ফ্রান্সের কালেসহ বিভিন্ন উপকূল থেকে যুক্তরাজ্যের দিকে যাত্রা করে হাজার হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। এ স্রোত থামানোর চলমান লড়াইকে শক্তিশালী করার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ফরাসি উপকূলে উদ্ধার অভিযানের জন্য কর্তৃপক্ষের ছয়টি উদ্ধার জাহাজ সক্রিয় রয়েছে।

প্রিফেকট আরও জানায়, সোমবার থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য ড্রোন, টহল হেলিকপ্টার, একটি টহল বিমান ও ৭৬টি ক্যামেরা একযোগে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফিক্সড-উইং ড্রোনগুলো ফরাসি নৌবাহিনীর মালিকানাধীন। এই ড্রোন সিস্টেমের মূল মিশন হবে উদ্ধার ও নজরদারি বিষয়ক আঞ্চলিক ফরাসি দপ্তরকে (ক্রস) সহায়তা করা। ড্রোনগুলো ঝুঁকিতে থাকা নৌকাগুলোর অবস্থান শনাক্ত করা ও অভিবাসী নৌকার উপস্থিতি সম্পর্কে সন্দেহ দূর করার কাজে ব্যবহার হবে।

নতুন এসব নজরদারি ড্রোন ও ক্যামেরার মাধ্যমে ফরাসি সীমান্ত পুলিশ, ডিপার্টমেন্টাল পাবলিক সিকিউরিটি ডিরেক্টরেট ও পুলিশের জেন্ডারমেরি শাখা উত্তর ফ্রান্সের শহুরে এলাকার বাইরে ও ভেতরের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হবে। এর সাহায্যে মানবপাচার ও সীমান্তের অনিয়মিত পারাপারের বিরুদ্ধে লড়াই ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে উদ্ধার করার গতি বাড়াতে চায় ফ্রান্স সরকার।

ফ্রান্সে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে ড্রোনের ব্যবহার সাধারণত বিভিন্ন বিচার বিভাগীয় ডিক্রির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই ডিক্রির শর্ত অনুসারে, উন্মুক্ত স্থানে ব্যক্তি ও সম্পত্তির নিরাপত্তার ওপর আক্রমণ প্রতিরোধে ড্রোন দিয়ে ভিডিও করতে বৈধ কারণ থাকতে হবে। একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সর্বোচ্চ তিন মাস পর্যন্ত এটি চালিয়ে যেতে পারবে। তবে বেশ কিছু নির্দিষ্ট শর্ত মেনে এটি নবায়নের সুযোগ রয়েছে।

২০১৮ সাল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হিসাব রাখতে শুরু করে যুক্তরাজ্য। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি অভিবাসী এই ভয়ংকর রুট পেরিয়ে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন। আর ২০২২ সালে প্রায় ৮০ হাজার অভিবাসী চ্যানেল অতিক্রম করে যুক্তরাজ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published.

Design & Developed BY N Host BD