বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
একসঙ্গে ছেলের জন্মদিন উদযাপন করলেন শাকিব-বুবলী চাটমোহরে ভূমিহীন ও গৃহহীন ১১৬টি পরিবারের মাঝে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর জাতীয় পার্টির মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত গাইবান্ধায় বান্দরবানের বলি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৫৩টি দোকান বসতঘর পুডে ছাই নিজেকে আর কষ্ট দিতে চান না বলিউডের অভিনেত্রী কাজল ওয়ানডে সিরিজের ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের কাছে হারলো জিম্বাবুয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা মেক্সিকোর চীনের পরিকল্পনায় যুদ্ধ শেষ হতে পারে: ভ্লাদিমির পুতিন শক্তিশালী ভূমিকম্পে পাকিস্তানে ৯ জন নিহত ভূমিহীন পরিবার পেলে তাদের ঘরের ব্যবস্থা করে দেব: শেখ হাসিনা

পদ্মাসেতু নির্মাণ আমাদের জন্য গৌরব, মর্যাদা ও যোগ্যতার প্রতীক: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এরইমধ্যে বৃহত্তম প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতা দেখিয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মাসেতু নির্মাণ করতে পেরেছি। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বিভিন্ন কর্মমুখী প্রকল্প আমরা করে যাচ্ছি। পদ্মাসেতু নির্মাণ ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরব, মর্যাদা ও যোগ্যতার প্রতীক। বাংলাদেশ পারে। বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুম হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। ৫০ বছর ধরে এডিবি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। ১৯৭৩ সালের জাতির পিতার নেতৃত্বে এডিবির সঙ্গে আমাদের সর্ম্পক প্রতিষ্ঠা হয়। গত ৫০ বছরে আমাদের যে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, কাঠামোগত উন্নয়ন, সামাজিক; প্রতিটি ক্ষেত্রে এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশে এডিবির সহায়তা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এডিবিকে ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ২০০৯ সালে গঠন হয়েছে তারপর থেকে তাদের সহযোগিতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বর্তমানে এডিবির আর্থিক এবং প্রযুক্তিগত ৫৪ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘদিনের লালিত যে স্বপ্ন, বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন। এই সোনার বাংলা গড়ার জন্য আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।সরকারপ্রধান বলেন, একটি লক্ষ্য হলো ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মাধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করা। একচল্লিশ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। সে লক্ষ্য নিয়েই আমাদের সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা অত্যন্ত বাস্তবমুখী, সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে বিশ্ব একাধিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আমরা ভূ-রাজনীতিক সংকটের স্বীকার হলেও এর জন্য বাংলাদেশ মোটেই দায়ী নয়। বরং আমাদের কষ্টার্জিত অর্জনগুলোকে নস্যাৎ করছে। আমাদেরকে একটু অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা এই সংকটের তাৎক্ষণিক কোনো সমাধানও দেখতে পাচ্ছি না। এটা শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে না, সারা বিশ্বে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নিম্নআয়ের মানুষগুলো আরো কষ্ট পাচ্ছে। বেশিরভাগ দেশই খাদ্য, জ্বালানি ও আর্থিক সংকটে পড়ছে। যার ফলে মুদ্রার অবমূল্যায়ন, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে অবক্ষয় এবং মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published.

Design & Developed BY N Host BD