বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন কি না বুঝে নিন হাঁটার ধরন দেখেই

নিউজ ডেস্কঃ লিভার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে, চর্বি, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট বিপাক করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকি গ্লাইকোজেন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সংরক্ষণেও কাজ করে।

শরীরের ভেতরে ও বাইরে পিত্ত উৎপন্ন ও নির্গত করার পাশাপাশি লিভার অ্যালবুমিন ও জমাট বাঁধার কারণগুলোর মতো প্লাজমা প্রোটিন সংশ্লেষণ করে। তাই লিভারে বিভিন্ন রোগ দেখা দিলে এর কার্যকারিতা কমে যায়। ফলে পুরো শরীরে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

লিভারের বিভিন্ন রোগের মধ্যে ফ্যাটি লিভার অন্যতম। ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হয়, যখন বিভিন্ন কারণে লিভারে খুব বেশি চর্বি জমা হয়। দুটি প্রধান ধরনের ফ্যাটি লিভার ডিজিজ হলো- ননঅ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (এনএএফএলডি)।

এটি হলো এক ধরনের ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যা ভারী অ্যালকোহল ব্যবহারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। অন্যদিকে অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ, যাকে অ্যালকোহলিক স্টেটোহেপাটাইটিসও বলা হয়। এটি প্রচুর অ্যালকোহল সেবরেনর সঙ্গে যুক্ত।

ফ্যাটি লিভারের সাধারণ লক্ষণগুলো হলো-

. পেটে ব্যথা বা পূর্ণতার অনুভূতি
. বমি বমি ভাব
. ক্ষুধা ও ওজন কমে যাওয়া
. হলুদ ত্বক
. চোখ হলুদ হওয়া
. পেট ও পা ফোলা
. ক্লান্তি ও মানসিক বিভ্রান্তি
. দুর্বলতা

ফ্যাটি লিভার কীভাবে হাঁটাকে প্রভাবিত করে?

দুই ধরনের ফ্যাটি লিভার ডিজিজের মধ্যে, নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার ডিজিজকে বলা হয় স্নায়বিক রোগের জন্য সবচেয়ে নতুন ভাস্কুলার রিস্ক ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে একটি।

এক্সপ্রেস.ইউকের রিপোর্ট অনুযায়ী, অস্বাস্থ্যকর লিভার যা কাজ করার জন্য লড়াই করছে তা বিভিন্ন ফাংশনকে প্রভাবিত করতে পারে।

আচরণ, মেজাজ, বক্তৃতা, ঘুম’সহ একজন ব্যক্তির চলাফেরায় পরিবর্তন আনে লিভারের এই ব্যাধি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাঁটার ভঙ্গি পরিবর্তন ফ্যাটি লিভার রোগের সংকেত দিতে পারে।

লিভার ট্রাস্টের তথ্য অনুসারে, ফ্যাটি লিভার রোগের রোগীর হাঁটার মধ্যে দুটি সবচেয়ে সাধারণ পরিবর্তন হলো একটি স্তম্ভিত গতি ও পড়ে যাওয়ার প্রবণতা।

একটি স্তম্ভিত গতিপথকে সাধারণত একটি অ্যাট্যাক্সিক গাইট হিসাবে বর্ণনা করা হয়, যার অর্থ অসংলগ্ন হাঁটা। রিপোর্টে শেষ পর্যায়ের ফ্যাটি লিভার ডিজিজ ও পারকিনসন্সের মধ্যে মিল পাওয়া গেছে।

কীভাবে ঝুঁকি কমাবেন?

মায়ো ক্লিনিক পরামর্শ দিচ্ছে, ফ্যাটি লিভার রোগের ঝুঁকি কমাতে ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য ও স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ডায়েটে।

এর পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা, নিয়মিত ব্যায়াম করা ও স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

আর অবশ্যই অ্যালকোহল পান ও ধূমপানের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলো পরিহার করাও গুরুত্বপূর্ণ।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


Leave a Reply

Your email address will not be published.

Design & Developed BY N Host BD