শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

বিএনপির কূটকৌশল প্রতিরোধ করা হবে: কাদের

নিউজ ডেস্ক: বিএনপির যেকোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যারা হুমকি দিচ্ছে-নির্বাচন হতে দেবে না, নির্বাচনে আসবে না, এটা তাদের ইচ্ছা। তবে নির্বাচন হতে দেবে না, এটা সম্ভব নয়। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন বানচালের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ কচুপাতার ওপর ভোরের শিশিরবিন্দু নয়। রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা নাকি আন্দোলনের ঝড় সৃষ্টি করবে, আর সেই ঝড়ে নাকি সরকারের পতন হবে। বাস্তবতা হচ্ছে বিএনপির ঝড় তোলার কোনো সামর্থ্য নেই, তাই গলাবাজি দিয়ে নিজেদের অক্ষমতা ঢাকতে চাচ্ছে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর কোথাও গণআন্দোলনে জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলে কখনো তা সফল হয়নি। বিদেশি দূতাবাসগুলোতে নালিশ করে দেশকে ছোট করছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটি কথা বারবার বলেছি, পরিষ্কার বলছি, তাদের (বিএনপির) কর্মসূচির পালটাপালটিতে আমরা নেই। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে চাই। সে কারণে আমরা শান্তির সমাবেশ করছি। তিনি বলেন, তারা হুমকি দিচ্ছে নির্বাচন করতে দেবে না। নির্বাচনে তারা আসবে না এটা তাদের ইচ্ছা, নির্বাচন হতে দেবে না এমন ধরনের যে সংকল্প ব্যক্ত করে তারা রুখে দাঁড়াবে, আমরাও দেখব, কে কাকে রুখে দাঁড়ায়। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে দেশ দুটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক ধারা যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি। আজকে তাদের নেতাকর্মীরা বুঝে গেছে মুখের গলাবাজি বাস্তবে মরীচিকা। আন্দোলনের পথরেখা থেকে নিজেরা সরে গেছে। তাদের জোটে অনৈক্য উইকেটের পতন ঘটছে। এখন ১৪-১৫টি দল আছে মনে হয়। তাদের নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন দুঃস্বপ্ন। জিয়াউর রহমানের নামে হত্যা মামলা দায়ের সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই মামলা দল বা সরকার করেনি। একজন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রশাসনকে বিভিন্ন নির্দেশনাও দিচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারিভাবে প্রস্তুতি ছিল। ঘূর্ণিঝড়ে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হোক আমরা সেটাই চাই।

দলের পক্ষ থেকেও সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাংগঠনিক নেতাদের করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। বৈঠকে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও সুজিত রায় নন্দী, প্রচার সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, কৃষি সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, উপপ্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপদপ্তর বিষয়ক সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published.

Design & Developed BY N Host BD