সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

দাম বাড়ার শীর্ষে পাট, লেনদেনের নেতৃত্বে ওষুধ

নিউজ ডেস্কঃ পতনের বৃত্তে আটকে রয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে অধিকাংশ খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এমন বাজারে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে পাট খাতের। অন্যদিকে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গেলো সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবস দরপতন হওয়ায় এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৫৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ। লেনদেনে অংশ নেওয়া মাত্র ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৭টির।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৯১ কোটি ১২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১৫৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এমন বাজারে গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ওষুধ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৩৬ কোটি ৭ লাখ টাকা। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ শতাংশ।

এছাড়া বাকি খাতগুলোর মধ্যে সিরামিকসের ২৮ কোটি ৮৮ লাখ, আইটি’র ২৮ কোটি ২৮ লাখ, খাদ্যের ২৩ কোটি ৭৬ লাখ, কাগজের ২২ কোটি ১০ লাখ, জ্বালানির ২০ কোটি ৬৫ লাখ, বিবিধের ১২ কোটি ৩০ লাখ, জীবন বিমার ৯ কোটি ৬০ লাখ, সেবা ও আবাসনের ৭ কোটি ৯০ লাখ, ভ্রমণের ৭ কোটি ৪১ লাখ, সাধারণ বিমার ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে।

বাকি খাতগুলোর এককভাবে প্রতি কার্যদিবসে গড়ে ৫ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে পাটের ৪ কোটি ২১ লাখ, ব্যাংক খাতের ৩ কোটি ৩৯ লাখ, বস্ত্রের ৪ কোটি ৭১ লাখ, চামড়ার ২ কোটি ৭৩ লাখ, সিমেন্টের ৯২ লাখ, অব্যাকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৪৪ লাখ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১ লাখ এবং টেলিযোগাযোগের ৬ লাখ টাকা প্রতি কার্যদিবসে গড়ে লেনদেন হয়েছে।

অন্যদিকে গত সপ্তাহে বেশিরভাগ খাত দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। আর যে কয়টি খাত দম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে, তার মধ্যে সব থেকে বেশি দাম বেড়েছে পাট খাতের। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম সম্মেলিতভাবে বেড়েছে ৫৯ দশমিক ৯০ শতাংশ।

দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নেওয়া বাকি খাতগুলোর মধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ, কাগজের ৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ওষুধের দশমিক ৫০ শতাংশ, চামড়ার দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং সেবা আবাসনের দশমিক ২৭ শতংশ দাম বেড়েছে।

অন্যদিকে ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার দাম সম্মেলিতভাবে কমেছে দশমিক ২৮ শতাংশ। সিমেন্ট খাতের দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, সিরামিকসের দশমিক ৮৬ শতাংশ, প্রকৌশলের দশমিক ১১ শতাংশ, খাদ্যের দশমিক ৫৭ শতাংশ, জ্বালানির দশমিক ২৯ শতাংশ, সাধারণ বিমার দশমিক ৫৬ শতাংশ, জীবন বিমার দশমিক ১৩ শতাংশ, বিবিধের ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, চামড়ার দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং বস্ত্রের দশমিক ৬৮ শতাংশ দাম কমেছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published.

Design & Developed BY N Host BD